ধর্মের সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা

 সমাজতত্ত্বে ধর্মের একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। ধর্ম নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা, সমালোচনা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। বিশ্ব এখনও ধর্মের বিশাল প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। খুব সতর্কতার সাথে আমি ধর্ম নিয়ে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এই আলোচনাটা শুরু করছি। আমি আশা করছি এই লেখাটি ধর্ম নিয়ে আমাদের মনে যত সনাতন ধারণা আছে, সেগুলো চূর্ণবিচূর্ণ করে যুক্তিসম্মতভাবে ভাবতে সাহায্য করবে।

ধর্ম কিভাবে ব্যক্তিবর্গের জীবনসমূহ কিনে নিতে সক্ষম? কেনইবা ধর্মের জন্য মানুষ জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে? মানবসমাজে ধর্ম কিভাবে এত প্রভাব বিস্তার করলো? কোন কোন অবস্থায় ধর্ম আমাদের মাঝে একাত্মতা তৈরি করে আর কোন কোন ক্ষেত্রে বিভেদের সৃষ্টি করে? ধর্ম কি বিলুপ্তির পথে? চলুন, আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি।

ধর্ম কী?

ধর্ম হচ্ছে কিছু প্রতীকের সমষ্টি, যেগুলো আমাদের মাঝে শ্রদ্ধা কিংবা শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয়ের সৃষ্টি করে। এই ধর্মীয় প্রতীকগুলো সকলের কাছে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ধর্মের একটা সুন্দর সংজ্ঞায়ন করার চেষ্টা করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গেভিন ফ্লাড বলেছেন, “ধর্ম সংস্কৃতির বাইরের কিছু নয়। ধর্ম সংস্কৃতির নিগড়েই গাঁথা। তবে সংস্কৃতির আওতা অনেক বিশাল, তাতে রাজনীতি, সমাজ, সমাজকাঠামো – সবই থাকতে পারে। ধর্ম মূলত সংস্কৃতিরই অংশ। ধর্ম হচ্ছে আত্মজিজ্ঞাসার আইনসিদ্ধ স্থান, যা কখনই সংস্কৃতির বহির্ভূত নয়।”
আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করাকেই ধর্ম বলে না। (একেশ্বরবাদ মানে হলো এক ঈশ্বর বা দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস)। অধিকাংশ ধর্মেই একাধিক ঈশ্বর বা দেবদেবীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় খৃষ্টান ধর্মে ঈশ্বর, যীশু, মেরি ইত্যাদি পবিত্র চরিত্রের উপস্থিতি রয়েছে। আবার এমনও ধর্ম রয়েছে যেগুলোতে আদতে কোন ঈশ্বরের উপস্থিতিই নেই।
প্রতিটি ধর্মেই কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। ধর্মের সাথে যুক্ত এসমস্ত আচরণবিধিসমূহ খুবই বৈচিত্র্যময়। যেমন, বিভিন্ন উপায়ে প্রার্থনা করা, নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা ইত্যাদি।

ধর্মের সাথে যাদুবিদ্যার সম্পর্ক আছে কি?

ধর্ম ও যাদুবিদ্যা- এই দুটো বিষয়ে নির্দিষ্ট সীমারেখা অঙ্কন খুব একটা সহজ নয়। কিন্তু দুটোকে আবার এক করেও দেখা যায় না। কিছু মন্ত্রপাঠ করে কিংবা বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে কোন ঘটনাকে প্রভাবিত করাকে যাদুবিদ্যা বলে। এখানে আমরা স্যামনদের (shaman) কথা বলতে পারি। স্যামন হলো এমন ব্যক্তি যিনি আত্মাসমূহ বা অ-প্রাকৃত শক্তিসমূহকে আচরণবিধিসমূহের মাধ্যমে নির্দেশ দিতে পারেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
মানুষ তাঁর দুর্ভাগ্য কিংবা বিপদের সময়েই যাদুবিদ্যার সম্মুখীন হয়। আধুনিক বিশ্বে যাদুবিদ্যার প্রচলন কমে এলেও সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় নি। এখন ধর্মের দিকে নজর দিলে যাদুবিদ্যার সাথে এর বেশ কিছু সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। তাবিজ, লকেট, বিভিন্ন মন্ত্রপাঠ করে বিপদ-আপদ দূরীকরণ, মঙ্গল কামনায় দোয়া পাঠ ইত্যাদি ধর্মের অংশ। কিন্তু এই সমস্ত কার্যাবলীর সাথে যাদুবিদ্যার বেশ সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়। ধর্মীয় এসমস্ত কর্মকান্ডকে যাদুবিদ্যা বলা না গেলেও এগুলো “প্রায় যাদুবিদ্যা”।

ধর্ম বিষয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব

এই অংশে উল্লেখ করার মতো তিনজন বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীর (কার্ল মার্ক্স, এমিল ডুর্খেইম, ম্যাক্স ভেহ্বার) তত্ত্ব রয়েছে, তবে আমরা শুধুমাত্র মার্ক্সের তত্ত্বটি নিয়েই আলোচনা করছি-
মার্ক্স ও ধর্ম
ধর্ম নিয়ে কার্ল মার্ক্সের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই উক্তির শুধুমাত্র শেষাংশটুকুকে কেন্দ্র করে মার্ক্সের বক্তব্যের সমালোচনার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। ধর্ম সম্পর্কে কার্ল মার্ক্স বলেছেন, “Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions. It is the opium of the people.”
এককথায় ধর্ম সম্পর্কে অসাধারণ একটি কথা। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে “…It is the opium of the people” এই কথাটাতে মার্ক্স সমালোচিত হন।
ধর্মের উপর বেশ ভালো দখল থাকা সত্ত্বেও মার্ক্স আলাদা করে ধর্ম নিয়ে বিশদ পড়াশোনা করেননি। তবে ধর্ম সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি ঊনিশ শতকের কয়েকজন দার্শনিক দ্বারা প্রভাবিত হন। এদের একজন হলেন ল্যুদভিগ ফয়েরবাখ (Ludwig Feuerbach)। ধর্ম সম্পর্কে ফয়েরবাখের একটা বিখ্যত রচনা আছে, নাম Essence of Christianity। ফয়েরবাখের মতে, ধর্ম হলো সেই সমস্ত মূল্যবোধ ও ধারণার সমষ্টি, যেগুলো মানুষ তাঁদের সাংস্কৃতিক বিকাশের ধারায় সৃষ্টি করেছে, কিন্তু ভুলভাবে সেগুলির উপর ঐশ্বরিক শক্তি বা দেবদেবীদের আরোপ করা হয়েছে। যেহেতু মানুষ সম্পূর্ণভাবে ইতিহাস বোঝে না, তাই তাঁরা সমাজ সৃষ্ট মুল্যবোধ, নিয়ম-কানুন ঈশ্বরের ক্রিয়াকলাপ বলে মনে করে।
আমরা যতদিন পর্যন্ত না আমাদের সৃষ্ট ধর্মীয় প্রতীকসমূহের প্রকৃতি উপলব্ধি করছি, ততদিন পর্যন্ত আমরা সেসমস্ত শক্তির আড়ালে বন্দী থাকবো, যেগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। একবার যদি মানুষ এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারে যে, যাবতীয় মূল্যবোধসমূহ যেগুলো ধর্মের নামে চালানো হচ্ছে সেগুলো আসলে তাদেরই সৃষ্টি, তাহলে সেইসমস্ত মূল্যবোধসমূহ পৃথিবীতেই প্রাপ্তিযোগ্য হয়।
মার্ক্সের মতানুযায়ী ধর্ম মানুষের আত্ম-বিচ্ছিন্নতার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। মার্ক্সের আরো বলেছেন, সাবেকী ধরনের ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যাবে, এবং সেটা হয়ে যাওয়াই উচিত। তবে ধর্মের মধ্যে নিহিত মূল্যবোধ, নৈতিকতা, আদর্শ, ইত্যাদি আমরা আমাদের মাঝেই লালন করতে পারি। কারণ মূল্যবোধ, আদর্শ এগুলো নিজেরা ভুল নয়। যেসমস্ত দেবদেবী বা অলৌকিক সত্তাকে আমরা সৃষ্টি করেছি, তাদেরকে আমাদের ভয় করা উচিৎ নয়। মার্ক্সের মতে যেসমস্ত মূল্যবোধ আমরা নিজেরাই চরিতার্থ করতে পারি সেগুলো তাঁদেরকে উৎসর্গ করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।

ধর্মের প্রকারভেদ

প্রায় প্রতিটি সমাজেই, তবে বিশেষত ঐতিহ্যবাহী সমাজসমূহে, ধর্ম একটি মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা এই লেখার একদম শুরুতেই উল্লেখ করেছি ধর্ম হচ্ছে মূলত কিছু প্রতীকের উপর বিশ্বাস, যে বিশ্বাসে ভয় এবং শ্রদ্ধা দুটোর মিশ্রণ থাকে। 
ধর্মের প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলেই টোটেমবাদ (totemism) ও সর্বপ্রাণবাদ (animism) আলোচনার শুরুতেই চলে আসে।
কোন প্রাণী কিংবা গাছের ‘প্রতীকী’ শব্দ হিসেবে ভারতীয় উপজাতিদের মধ্যে এই টোটেম শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু কথাটি কোনো গাছ বা প্রাণীর অতিপ্রাকৃত শক্তি আছে বোঝাতেই ব্যপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণ প্রতিটি সাধারণ সমাজেই নির্দিষ্ট টোটেম আছে সেগুলো নানাবিধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত। উদাহরণস্বরূপ আমরা তুলসী গাছের কথা বলতে পারি। তুলসী গাছের সাথে হিন্দুদের নানা কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে।

অন্যদিকে সর্বপ্রাণবাদ বলতে আত্মা, প্রেতাত্মার উপর বিশ্বাস স্থাপন করাকে বোঝায়। এখানে মনে করা হয় যে আত্মা প্রেতাত্মারা আমাদের সমাজে মানুষের মতোই ভিড় করে আছে। এদেরকে শুভ কিংবা অশুভ শক্তি হিসেবে দেখা হয়। এও মনে করা হয় যে এসমস্ত আত্মাগুলো মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ধর্ম ও যাদুবিদ্যা নিয়ে উপরে আলোচনার সময় আমরা স্যামনদের কথা বলেছিলাম। ঠিক এই জায়গাতেও স্যামনদের কথার উল্লেখ করা যেতে পারে।

বিশ্বের প্রভাবশালী তিনটি ধর্ম

পৃথিবীতে তিনটি সবচেয়ে প্রভাবশালী একেশ্বরবাদী ধর্ম হলো ইহুদী, খ্রীস্টান ও ইসলাম ধর্ম। মজার ব্যপার হচ্ছে এই তিনটি ধর্মের প্রতিটিরই জন্ম হয়েছে মধ্য-প্রাচ্যে এবং একটি আরেকটির দ্বারা প্রভাবিত।
ইহুদী ধর্ম ( Judaism)– আলোচিত এই তিনটি ধর্মের মধ্যে ইহুদী ধর্মই সবথেকে প্রাচীন ধর্ম হিসেবে পরিচিত। এর জন্ম হয়েছে খৃস্টপূর্ব এক হাজার অব্দে। প্রথমদিকের ইহুদী ধর্মালম্বীরা ছিলো যাযাবর, এবং প্রাচীনকালে এরা মিশর ও এর আশেপাশেই বসবাস করতো। ইহুদীদের ধর্মগুরুরা আংশিকভাবে ধারণা লাভ করেছিলো অঞ্চলে প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে। তবে পার্থক্য বলতে এতটুকুই যে ইহুদীরা এক সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে দায়বদ্ধ ছিলো। ইহুদীদের অধিকাংশ প্রতিবেশীই ছিলো একাধিক দেব-দেবতায় বিশ্বাসী।
খ্রিস্টান ধর্ম (Christianity)– ইহুদী ধর্মের অনেক মতামত গ্রহণ ও যুক্ত করেই খ্রিস্ট ধর্মের বিকাশ। যীশু একজন গোঁড়া ইহুদী ছিলেন এবং ইহুদি ধর্মের একটি গোষ্ঠী হিসেবে তিনি খ্রিস্টান ধর্মের সূচনা করেন। তবে এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে, যীশুর একটি আলাদা ধর্ম প্রবর্তনের কোনো ইচ্ছা ছিলো কি না।
ইসলাম ধর্ম (Islam)- বর্তমান পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্ম ইসলাম ধর্মের জন্ম হয়েছে খ্রিস্টধর্ম জন্মের পাশাপাশি। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে মুহাম্মদ এর হাত ধরে এই ধর্মের শুরু।
এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ধর্মের প্রচলন রয়েছে। যেমন- হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, কনফুসীয় ধর্ম, তাও (Tao) ধর্ম ইত্যাদি।

মানুষ কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করে?

একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিজ্ঞানের প্রভাবে ধর্মের গুরুত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মার্ক্স এটাই চেয়েছিলেন। যদিও এখনও ধর্মের বলয় থেকে সমগ্র বিশ্ব বের হতে পারে নি। এ থেকে সহজেই অনুমেয় যে প্রতিটি সমাজে ধর্মের প্রভাব কতটা শক্তিশালী। কিন্তু মানুষ কেন এক অদেখা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে? এটা মোটামুটি অজানা নয় যে প্রায় প্রতিটি ধর্মের উৎপত্তি হয়েছিলো বিভিন্ন সামাজিক অশান্তি বিশৃঙ্খলার সময়। সমাজে যখন নানা ধরনের অন্যায় অবিচার হয়েছে, তখনই কোন মহাপুরুষের হাত ধরে ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে। এখানে লক্ষ্যণীয় যে সমাজে স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য ধর্ম তখন বেশ ভালো ভূমিকা পালন করেছিলো। নিজের পাপের ফল যখন পরকালে ঈশ্বর নামক এক মহাক্ষমতাধরের কাছে দিতে হবে, এক অদেখা শক্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন করে নিজেকে সঁপে দিতে হবে, আড়ালে কিংবা প্রকাশ্যে যা-ই করা হোক না কেন উপর থেকে তিনি সব দেখেন- এই ধরনের ভয়ভীতি যখন মানুষের মাঝে গেঁথে দেওয়া সম্ভব হয়েছিলো, তখন সমাজে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা এসেছিলো। মানুষ এভাবেই ধর্মের সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীতে মানুষের আগে ধর্ম আসেনি, মানুষ নিজেই ধর্মের সৃষ্টিকর্তা।

ধর্ম কি বিলুপ্তির পথে?

পশ্চিমা বিশ্ব অনেকাংশেই ধর্মের বিশাল প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পেরেছে, কিন্তু আমরা ঠিক ততটা দ্রুত সেটা করে উঠতে পারছি না। ভারতীয় উপমহাদেশে এখনো ধর্ম বেশ শক্তপোক্ত একটা আসনে অধিষ্ঠ হয়ে রয়েছে। তাহলে পশ্চিমা বিশ্ব কিভাবে এত দ্রুত পারলো? আমরা কেন পারছি না? এক্ষেত্রে রেনেসাঁর প্রভাব উল্লেখযোগ্য। যখন নানা ধরনের বিপ্লব চলছিলো, ঠিক তখনই ধর্মের বলয় থেকে পশ্চিমা বিশ্ব মুক্তির চেষ্টা করে। তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা যত সহজ ছিলো, আমাদের জন্য ততটা সহজ নয়। ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মীয় প্রতীক, বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-আচরণ এখনো আমাদের কাছে বেশ পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।
শেষ নয়, তবুও শেষ করছি। একটা অনলাইন পোস্ট খুব বেশি বড় করার পক্ষপাতী আমি না। ধর্ম থাকবে কি থাকবে না- সেটার থেকে বড় কথা সমাজে ধর্মের প্রভাব কতটা। সমাজবিজ্ঞানীদের একটা সীমাবদ্ধতা সবসময়ই থাকে, তাঁরা কখনো বিচার করতে পারেন না। তাঁরা নির্দিষ্ট করে বলে দিতে পারেন না, এটা ভালো ওটা খারাপ। ধর্ম নিয়ে অনেক হানাহানি কাটাকাটি আমাদের বাংলাদেশে হয়েছে। সেগুলো দুঃখজনক। সমাজে ধর্মের গুরুত্ব আছে, তবে ধর্মান্ধতা গুরুত্বহীন ও অপকারী। ধর্ম আর ধর্মান্ধতা একজিনিস নয়। মহাত্মা গান্ধীর একটা লাইন দিয়েই লেখাটা শেষ করছি। “God has no Religion”
তথ্যসূত্র
1. Giddens, Anthony (2009) Sociology. London: The polity press
2. Loo, William A. Religious faith and world culture
Malefijt, Religion and culture, An Introduction to the Anthropology of Religion.

 ©Rasel, Anp@CoU.

Related Posts

Subscribe Our Newsletter